
যারা হজ্জ বা উমরায় গেছেন তারা সবাই নিশ্চয়ই একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছেন চামড়া পোড়ানো সেই তীব্র গরমে ও খোলা আকাশে সূর্যের কশকশা রোদের নীচে, কাবার চারপাশে তাওয়াফ এর স্থান “মাতাফ” এ পায়ের নীচ পুড়ে যায়না বরং বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়।
গরমের মাঝেও মক্কার মার্বেলের মেঝে ঠান্ডা অনুভূত হয়, এর পেছনে রহস্য কি?
সৌদি আরবের শুষ্ক তাপমাত্রা এবং গরমের মধ্যেও অনুভূত হওয়া এই ঠাণ্ডার বিষয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে দেশটির পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সি অ্যাফেয়ার্সের অফিস জানিয়েছে এই রহস্যের কারণ। তারা জানায়, এই ঠাণ্ডার কারণ হচ্ছে বিশেষ ধরণের মার্বেল পাথর। সৌদি আরব মসজিদ ও কাবা শরীফের চারপাশের মেঝের জন্য গ্রিস থেকে আনা বিরল থাসোস মার্বেল পাথর ব্যবহার করেছে।বিশেষ এই মার্বেল সহজলভ্য ছিল না। এই ধরনের মার্বেল ছিল পুরো পৃথিবীতে কেবলমাত্র একটি ছোট পাহাড়ে, যা গ্রীস এ অবস্থিত। এই পাথরের বিশেষ গুণ হচ্ছে, তা সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে তাপও শুষে নিতে পারে। এছাড়াও এই মার্বেল পাথরের নিচে রয়েছে পানির নালা। যা বালির মধ্যে দিয়ে পানি প্রবাহিত করে নিচে ভিজিয়ে রাখে। যার ফলে সৃষ্টি হয় এই ঠাণ্ডার। সূত্র: আল আরাবিয়া।
নিউজ সোর্সঃ https://english.alarabiya.net/en/features/2017/01/30/Why-Mecca-s-marble-flooring-s-cool-to-touch

এই মহান কাজের কারিগর কে ?
মিশরীয় জিওলজিষ্ট ড.যাগলুল আল- নাজ্জার এর ভাষায়, ” যিনি এই মহান কাজের কারিগর ও উদ্যোক্তা -তিনি একজন ইজিপশিয়ান ইঞ্জিনিয়ার এবং আর্কিটেক্ট যিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতেই বেশী ভালবাসতেন। তিনি ড. মোহাম্মাদ কামাল ইসমাঈল। [জন্ম-১৯০৮-মৃত্যু ২০০৮]
মিশরীয় ইতিহাসে তিনিই ছিলেন প্রথম সর্বকনিষ্ঠ ছাত্র যিনি হাই স্কুল শেষে “রয়েল স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং” এ ভর্তি এবং গ্রাজুয়েট হয়েছিলেন! ইউরোপে পাঠানো ছাত্রদের ভেতরেও তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ, ইসলামি আর্কিটেকচার এর ওপর আলাদা বিষয়ে ৩ টি ডক্টরেট ডিগ্রি নেয়া প্রথম মিশরীয় ইঞ্জিনিয়ার তিনি।

ইনিই হলেন সেই ইঞ্জিনিয়ার যিনি হারামাইন (মক্কা-মদিনা) সম্প্রসারণ প্রজেক্টের পরিল্পনা ও বাস্তবায়নের ভার নিজের কাধে নেন। ড.কামাল ইসমাঈল হারামাইন এ নকশা বা আর্কিটেকচারাল তত্তাবধায়ন এর জন্য কিং ফাহাদ এবং বিন লাদেন গ্রুপ এর সুপারিশ থাকা স্বত্তেও কোন পারিশ্রমিক গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানান!! মোটা অংকের চেক উনি ফিরিয়ে দেন। কাজের প্রতি তার সততা এবং আন্তরিকতা তাকে খাদিমুল হারামাইন মালিক ফাহাদ, মালিক আব্দুল্লাহ সহ সকলের প্রিয়পাত্র ও বিশ্বাস ভাজন করে তোলে।তিনি প্রায় ১০০ বছর বেঁচেছিলেন, পুরো সময় তিনি দুই মসজিদের সেবায় ব্যায় করেন, অর্থ বিত্ত, খ্যাতি, মিডিয়ার লাইম লাইট থেকে দূরে সরে থেকে।

সূত্রঃজেনারেল প্রেসিডেন্সি অ্যাফেয়ার্সের অফিস (আল হারামাইন আশ- শরীফাইন),আরব নিউজ,বাংলা ট্রিবিউন। Dr.Nazzar official
JOIN US
FB Group : https://www.facebook.com/groups/CivilianStudyZone
FB Page : https://www.facebook.com/DesignIntegrityBd
Website: http://dil.com.bd
Blog: https://blog.dil.com.bd