পাবলিক ইউনিভার্সিটি তে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং : (বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং)
.
বাংলাদেশের ৫ টি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (CUET), ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (DUET), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (KUET) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (RUET) সহ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (SUST) ও মিলিটারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (MIST) এ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ রয়েছে।
নিম্নোক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গুলো সরকারী, তাই খরচ অন্যান্য পাবলিক ভার্সিটির মতই।
১. বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) – ১৯৫ আসন
২. ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(ডুয়েট )-শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ব্যাকগ্রাউন্ড দের জন্যে -১৮০ আসন
৩. খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) -১২০ আসন
৪. রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) -১৮০ আসন
৫. চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-১৩০ আসন
৬.শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)- ৫০~৫৫ আসন
৭.মিলিটারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মিস্ট)-২০~২৫ আসন
৮.হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)
৯.পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)
১০.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং. : (বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং)
এছাড়াও রয়েছে ৩ টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, যেগুলো তে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হচ্ছে।
২. ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।-৬০ আসন
৩.ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।-৬০ আসন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং : (বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং)
২.বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সৈয়দপুর, নীলফামারী (BAUST)
৩.বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,নাটোর, কাদিরাবাদ (BAUET)
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং : (বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং)
এখন দেশে মানসম্মত অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে । ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয় সরকার। সে সময় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন নামে একটি আইনও পাশ করা হয়। এই আইন বলে প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ২০১০ সালে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য নতুন একটি আইন প্রবর্তন করা হয়। এখন মোট ৫০টির বেশী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে বাংলাদেশে। এরমধ্যে কিছু আছে মানসম্মত আবার কিছু আছে যথেষ্ঠ মানসম্মত নয় তাই কিছুটা দেখেশুনে এবং খোঁজখবর নিয়ে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া উচিত।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে উল্লেখ্য কিছু :
আপনি যখন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন সেক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি নির্বাচন এর আগে আপনাকে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
প্রথমত, সেই ইউনিভার্সিটি আই.ই.বি (ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ) কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কিনা।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) বাংলাদেশের প্রকৌশল পেশাজীবীদের জাতীয় সংগঠন। IEB হলো বাংলাদেশে ইঞ্জিয়ারদের অভিভাবক সংস্থা।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ থেকে শুরু করে সেখানকার ল্যাব সুবিধা, ফ্যাকাল্টি মেম্বার এসবের ওপর বিবেচনা করে সেই নির্দিষ্ট ডিপার্টমেন্ট কে একটি এফিলিয়েশন দিয়ে থাকে। যে সমস্ত ডিপার্টমেন্ট এর এই এফিলিয়েশন আছে সে সমস্ত ডিপার্টমেন্ট এর ছাত্র রা পরবর্তীতে সেখানকার মেম্বার হতে পারবেন ।
.
IEB এফিলিয়েশন প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্টঃ Click here to check IEB Accredited Universities for Civil Engineering
দ্বিতীয়ত, ইউনিভার্সিটি এর ল্যাব ফ্যাসিলিটি কেমন,পর্যাপ্ত ল্যাব ফ্যাসিলিটি আছে কিনা? ক্যাম্পাস কেমন, নিজস্ব ক্যাম্পাস আছে কিনা ইত্যাদি অবকাঠামোগত বিষয়গুল।
তৃতীয়ত, ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি লিস্ট কেমন, অর্থাৎ ইউনিভার্সিটির শিক্ষকরা কেমন যোগ্যতা সম্পন্ন,কত পিএইচডি হোল্ডার রয়েছে ইউনিভার্সিটিতে, স্ট্রাকচার-আরসিসি-জিওটেকনিক্যাল-ট্রান্সপোর্টেশন সহ এনভায়রনমেন্ট ও ওয়াটার রিসোর্স এর পর্যাপ্ত শিক্ষক আছেন কিনা। ( এসব তথ্য সহজেই ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে পাবেন)
চতুর্থত, ইউনিভার্সিটির আউটপুট কেমন, ইউনিভার্সিটির এলমনাই রা কি ধরনের জব করছে কিংবা কেমন পজিশনে আছেন (যদিও এইসব তথ্য পাওয়া কষ্টসাধ্য, তবে যেকোন সিনিয়র সিভিল ইঞ্জিনিয়ার থেকে এসব তথ্য সহজেই জানা যাবে)
পঞ্চম, ইউনিভার্সিটির সর্বমোট খরচ কেমন, ওয়েভার কেমন, নানা ইস্যুতে হিডেন চার্জ ধরা হয় কিনা যার ফলে স্টাডি কস্ট অনেকটা বেড়ে যায়।
যদি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে সিভিল এর কথা চিন্তা করা হয় তাহলে প্রথমেই আসবে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। ঢাকা আহসানিয়া মিশনের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৯৫ সালে বেসরকারী খাতে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন নিজস্ব ক্যাম্পাসে তেজগাঁও শিল্প এলাকার নিজস্ব ক্যাম্পাসে এর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
Website : Click here to check AUST Civil Engineering website
শিক্ষাব্যাবস্থা- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্যে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এর মধ্যে IUT অন্যতম। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ মানসম্মত শিক্ষাব্যাবস্থা দিচ্ছে IUT ।
বাংলাদেশে যে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি তার মধ্যে একটি। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে এটি স্ট্যামফোর্ড কলেজ গ্রুপ অব বাংলাদেশ, হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ পেয়ে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ নামে কার্যক্রম শুরু করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি শাখা রয়েছে, একটি সিদ্ধেশ্বরী এবং অপরটি ধানমন্ডি অবস্থিত।
৮.ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলোজি (IEB লিস্টেড নয়)
১০. ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি (IEB লিস্টেড নয়)
১১. ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি (IEB লিস্টেড নয়)
১৫.সাউর্দান ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ (চট্টগ্রাম) (IEB লিস্টেড)
১৬.লিডিং ইউনিভার্সিটি (সিলেট) (IEB লিস্টেড নয়)
১৭.নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ (খুলনা) (IEB লিস্টেড নয়)
।বিদ্রঃ উল্লেখিত IEB এফিলিয়েশন প্রাপ্ত এর বিষয়টি পরিবর্তনশীল, আপডেটেড তালিকাটি এই লিংক এ দেখুনঃ
“সর্বোপরি যাদের পুরকৌশলে আগ্রহ আছে তারা নির্দ্বিধায় এ পেশায় আসতে পারেন। ভবিষ্যৎ খুব খারাপ হবে না ইনশাল্লাহ।তবে পরিশ্রম,প্যাশিয়ন আর ধৈর্য থাকতে হবেসবার জন্য শুভ কামনা “
লেখাঃ
মোঃ তৌহিদুল ইসলাম
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী
এল.জি.ই.ডি
স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং জব সার্কুলার , জব কোশ্চেন, জব সলিউশন সহ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং জব প্রস্তুতি নিয়ে আরো জানতে জয়েন করুন Civilian Study Zone গ্রুপটি তে।
Group Link: https://www.facebook.com/groups/CivilianStudyZone
Page Link: https://www.facebook.com/DesignIntegrityBd